নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া সুবর্ণা আক্তার(১৭) নামে এক ছাত্রী কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুবর্ণা আক্তার নামে দশম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে তিন বছর বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম ইমন (২১) সে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এদিকে শারীরিক সম্পর্ক করার পরও ইমন বিয়ে না করায় ওই ছাত্রী গতকাল সোমবার সকালে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে সুবর্ণা আক্তার প্রেমিক ইমনকে দায়ি করে একটি চিরকুট লিখে যান। ইমনকে দায়ি করে লিখে যাওয়া স্কুল ছাত্রীর চিরকুট ও মৃতদেহ উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। নিহত ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার, উপজেলার কাইকারটেক নবাব হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে পরিবারের সাথে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাটিপাড়া গ্রামের মৃত মঙ্গল হোসেনের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর ধরে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেম ছিল। এ সময় ইমন বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে গত তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার বুঝতে পারলে তার বাবা-মা ইমনের বাবা মাকে বিষয়টি একাধিকবার জানালেও তারা উল্টো ছাত্রীর বাবা মাকে গালমন্দ করে। এবং ছেলে পক্ষের পরিবার বিয়ে না দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটির সমাধান করতে চেষ্টা করেন। তবে মেয়ের পরিবারে এতে রাজি হয়নি। এদিকে স্কুল ছাত্রী সুবর্ণা আক্তারের আত্মহত্যার কথা জানতে পেরে ইমন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।