মুক্তির কথা নিজস্ব প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করার ঘটনা স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে প্রচার করায় সোনারগাঁয়ের চ্যানেল এস এর সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হেফাজত কর্মী-সর্মথকরা।
মঙ্গলবার (৬ই এপ্রিল) চ্যানেল এসের সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ১৫জনের নামে মামলা হলে রাতেই অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
হামলার শিকার সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে আমি গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছি। আমি নিজেই বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ১৫জন সহ অজ্ঞাত আরো ৮০ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের তদন্ত ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান জানান, হেফাজত কান্ডে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর সোনারগাঁ পানাম দিঘিরপার এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্টে এসেছিলেন।মাওলানা মামুনুল হক সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে তিনি স্ত্রী সহ তার সহযোগী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের সাথে তিনি রিসোর্ট ত্যাগ করেন।