নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে একদল যুবককে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিলে এদের মধ্যে ৪ জন নিহত হয়েছে।
এদের মধ্যে নিহত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিহত উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আমানুল্লাহর ছেলে জাকির (৪০), জেলার আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৮), জালাকান্দি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে নবী হোসেন (৩৫)।
অন্যদিতে মুমূর্ষূ অবস্থায় আহত পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫)।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন, নারায়নগঞ্জ জেলা সিআইডি বিশেষ শাখা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবির। পরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত বাকী ১জনের নাম ঠিকানা সনাক্তকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে বাঘরি গ্রামের বিলে অপরিচিত ১০-১২ জন যুবককে এক সঙ্গে দেখতে পায় এলাকার এক যুবক। বিষয়টি গ্রামে এসে জানালে মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়। এতে আরো তিন-চারটি গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন চারদিক থেকে বিলে অবস্থান করা যুবক দলকে ঘিরে রফলে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ডাকাত দল সন্দেহে যুবকদের গণপিটুনি দেয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরো একজন প্রাণ হারায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কাজরদি (কুন্দেরপাড়া) এলাকার মৃত শামসুল হক মাস্টারের বাড়িতে এবং একই গ্রামের ইসলাম মুন্সীর বাড়ির দুই পরিবারের সদস্যদেরকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্র্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
এ সময় প্রতিবাদ করলে ডাকাতরা ধারালো চাপাতি দিয়ে ইসলাম মুন্সীর হাতে, পায়ে ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।