শম্ভুপুরা ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী আব্দুল খালেক চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মঙ্গলবার(১১জানুয়ারি) বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় একশত বছর এবং পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর গ্রামের অধিবাসী।
তিনি সমাজসেবায় প্রশংসনীয় কাজ করে গেছেন। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
১০৩নং দিশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হাজী আব্দুল খালেক ফাউন্ডেশন।
এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে নানাবিধ সহযোগিতা করা হয়।
তিনি তাঁর দীর্ঘ জীবনে অসংখ্য সামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন এবং ধর্মীয় অনুশাসন, বিধিবিধান মেনে চলতেন। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
রাজনৈতিক ভাবে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতেন,একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।
১৯৭৫সালের ১৫আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবার কে হত্যা করা হয়,হত্যাকাণ্ডের কথা শুনে তখন তিনি প্রতিবাদ স্বরুপ লাঠি নিয়ে বাহির হইয়া গিয়েছিলেন।
বুধবার(১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় হোসেনপুর এস পি ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার জানাজার নামাজ শেষে হোসেনপুর সাতগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় শত শত মুসল্লিদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ-৩,সোনারগাঁ আসনের সাবেক সাংসদ,আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত,এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আলহাজ্ব বজলুর রহমান সি আই পি, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু,বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ আউয়াল,আবদুর রসিদ, আলম চাঁন,আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
হোসেনপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মরহুমের বড় ছেলে গোলাম হোসেন
মরহুমের মাগফিরাত কামনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।