করোনা মোকাবেলায় লোক চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করতে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ওআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকেই সারাদেশের ন্যায় সাত দিনেরকঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েকড়া নজরদারি চালানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রোভার স্কাউটও রেড ক্রিসেন্টের ও বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদেরও তৎপরভাবে কাজ করতে দেখাযায়।
সোনারগাঁ ইউএনও আতিকুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী, বিজিবি, (র্যাব )ও পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেয়ায় উপজেলার জনসাধারণের চলাচলঅনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যে কারণে নগরী অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। কেউ মাস্ক ছাড়া এবংঅপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টের চেকপোস্টে প্রসাশনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছেতাদের।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা,পণ্যপরিবহন ও রপ্তানি কাজে ব্যবহৃত পরিবহন ছাড়া অন্য কোনোযানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। এছাড়া দোকানপাট,মার্কেট গুলো বন্ধ রাখার পাশাপাশি বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তিন প্লাটুনসেনাবাহিনী টহলে নামে। নগরীর চাষাঢ়ায় বিভিন্ন চেকপোস্ট ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমপরিদর্শন করেন সেনা কর্মকর্তারা।
চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় জরুরি কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন যানবাহন, মোটরসাইকেল আরোহী ওপণ্যবাহী পরিবহন চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেনা সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বাইরে বেরহওয়ার কারণ জানতে চান এবং সঠিক কারণ না বলতে পারা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলমান থাকতে দেখাযায়। সঠিক জবাব পাওয়ার পরই তাদের যেতে দেওয়া হয়। সেনা টহলের পর থেকেই নগরীতে যানবাহনও মানুষের চলাচলও কমে যায়।