৭৫ এর ১৫ আগস্ট। স্ব-পরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সদস্যদের ভয়াল কাল রাতে নির্মম হত্যার বর্ননা করে কাদলেন এবং কাদালেন সবাইকে ১৫ ই শোকাবহ আগস্ট শহীদ স্মরণে উপজেলা আ’লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্যে
স্মৃতিচারণ করেন উপজেলা আ’লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক। ৯ ই আগষ্ট বুধবার বিকেলে মোগরাপাড়ায় সাবেক সংসদ সদস্যের বাগানবাড়িতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ১৫ ই আগষ্ট বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এ সভা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবার সদস্যদেরসহএবং বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামানায় দোয়া-মোনাজাত ও শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
১৫ আগস্টের হৃদয় বিদারক স্মৃতি চারন করতে গিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সুযোগ্য সন্তান আ’লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক তিনি তার বক্তব্যে ১৫ আগস্টের সেই লোমহর্ষক বর্ননা দিতে গিয়ে নিজে কাঁদলেন এবং উপস্থিত তার বাবাসহ সর্বস্তরের মানুষকে কাঁদালেন। সে দিনের সেই স্মৃতি আজও আমাকে কাঁদায়। এক মুহুর্তের জন্য সেইদিনের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা ভুলতে পারেননি তিনি। গর্ভবতী মাকে রেখে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে তার বাবা এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া
ভারতের আগারগাঁয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। জন্মের পর তার বড় ভাই বাবাকে কাছে পায়নি, পরিবারের কারো সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না কি ভাবে আছে তাও জানা নাই কারো। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৫ই আগস্ট এর পরের দিনও জানেন না তার পরিবারের কেউ বেঁচে আছে কি না, একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় সে দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতটা অসহায় ছিলেন, আমরা তো প্রতিদিনই আপনজনদের সাথে দেখা হয় কথা বলি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সব হারিয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষকে ভালবেসে আপন করে নিয়ে সজন হারানোর ব্যাথা ভুলে আছেন। তাই ১৫ই আগস্ট আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য, সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশীয় ও বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে, তাহলেই সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। উপস্থিত সকলের চোঁখ বেয়ে ঝড়ে পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলীর অশ্রু। চোঁখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউই। এ সময় প্রধান বক্তৃতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম,
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি,জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান মাসুম,উপজেলা আওয়ামীলীগ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সভাপতি নাছরিন সুলতানা ঝরা,আরো উপস্থিত ছিলেন, মোগরা পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নগদ এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুর রহমান ঝলক, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুল আলম বাবুল, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার,জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির,নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামসু মিয়া, সনমান্দী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন,থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক, সাবেক ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওসমান গনি, পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী গাজী মজিবুর রহমান,পৌরসভার মেয়র প্রার্থী এডভোকেট ফজলে রাব্বি, পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোঃ হোসাইন,সোনারগাঁও উপজেলা আ’লীগের ওবায়দুল হক মাস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী আসিফ আহমেদ আনিস,আওয়ামী লীগ নেতা হালিম মেম্বারসহ সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা।