রাজধানী ঢাকার প্রবেশদ্বার ব্যস্ততম ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম প্রান্তে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ৭তলা বিশিষ্ট সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আল-মদিনা শপিং মলে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা জমে উঠেছে।
সোনারগাঁয়ে একমাত্র সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মল হওয়ায় সোনারগাঁও উপজেলা ছাড়াও জেলার আড়াইহাজার, বন্দর, মুন্সীগঞ্জে জেলার গজারিয়া, কুমিল্লার মেঘনা, তিতাস উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা সাধারণ ঈদকে সামনে রেখে এখানে কেনাকাটা করতে আসছেন।
সোমবার (১০ মে) আল মদিনা শপিং মলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মার্কেটের ভিতরে উপচেপড়া ভিড়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যবসায়ীরা খুশি। ছোট-বড় সবাই মার্কেটে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
প্রাইজ নির্ধারিত থাকায় ক্রেতারা সময় বাঁচিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দসই জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন।
ক্রেতার বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের মূল্য বেশি নিচ্ছেন না। বেশিরভাগ দোকানেই ফিক্সড রেটে থ্রি পিস, শাড়ি ও ছোট-বড় সকল বয়সীদের জামাকাপড়, কসমেটিক্স, জুতা বিক্রি করা হচ্ছে।
জোনাকি আক্তার নামের একজন ক্রেতা জানান, সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এতদিন ঘর থেকে বের হইনি। ঈদ সামনে,কেনাকাটা তো করতেই হবে,এজন্য মার্কেটে এসেছি। পরিবারের লোকজনের জন্য জামাকাপড় কিনতে এসেছি। সরকারের নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরে মার্কেটে এসেছি।
মার্কেট কতৃপক্ষও যথেষ্ট সচেতন,স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মার্কেটে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
রনি নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, সত্যিকার অর্থেই চমৎকার একটি মার্কেট,এক বিল্ডিংয়েই সব পাওয়া যায়।
শাড়ি কাপড়,থ্রীপিছ,বাচ্চাদের কাপড়/খেলনা,বড়দের পেন্ট/শার্ট /গেন্জি/পান্জাবী, মেয়েদের প্রসাধনী, সব বয়সীদের জন্য জুতো এবং সব ব্রান্ডের মোবাইলও দেখতে পাচ্ছি।এই প্রথম পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এখানে এসেছি। অন্য মার্কেটের অবস্থা ভয়াবহ দেখে এসেছি। সেখানে মহামারী করোনায় সরকারের নির্দেশনা স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বালাই নেই। এতো মানুষ, সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত। আল মদিনা মার্কেটে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে সবাই কেনাকাটা করছেন তাই এখানে এসে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারছি। এখন পর্যন্ত দুটি থ্রি-পিস কিনেছি। অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে দামও তুলনামূলক কম। এছাড়া ১ হাজার টাকার পন্য কিনলে পাচ্ছি মার্কেট কর্তৃপক্ষের দেওয়া আকর্ষণীয় পুরস্কারের লটারির একটি কুপন।
এতেই আমরা ক্রেতারা খুশি।