প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার পথচারী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে।রাস্তা পারাপারের নিরাপদ কোনাে বিকল্প ব্যবস্থা না করেই নারায়ণগঞ্জের সােনারগাঁও উপজেলার মােগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রিজ মেরামতের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে।এতে স্থানীয় লােকজন পড়েছে ভােগান্তিতে।
যে কোন ফুট ওভারব্রিজ অথবা সেতু মেরামতের আগেই সর্ব সাধারণের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার নিয়ম থাকলেও সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়ায় পূর্ব পশ্চিমে যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন ব্যাবস্থাই নেয়া হয়নি। তাই জনসাধারণ একপ্রকারের বাদ্য হয়েই ব্যস্ততম ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে জীবনের ঝঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে,এতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা,ঘটতে পারে প্রাণহানি।
পূর্ব ঘােষণা ছাড়াই গত সাতদিন আগে সড়ক ও জনপথ ( সওজ ) অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের নির্দেশে ফুটওভার ব্রিজ মেরামত করার সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ফুটওভার ব্রিজের মাঝখানের দুটি লােহার তৈরি পাঠাতন খুলে মেরামতের কাজ শুরু করে। ফুটওভার ব্রিজের মাঝখানের লােহার পাঠাতন খুলে নেওয়ায় মানুষের পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।
ফুটওভার ব্রিজের দুই পাশে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে মহাসড়কের মাঝখানে ওয়াল ও লােহার গ্রিল দিয়ে দূর্ঘটনার ভয়ে আগেই বন্ধ করা হয়েছে,যাতে কেউ টপকে পারাপার হতে না পারে।এ কারণে মানুষ গত সাত দিন ধরে ফুট ওভারব্রিজের পার্শ্ববর্তী স্থান দিয়ে পারাপার হতে না পেরে,প্রায় ৫০০ মিটার দূর দিয়ে পায়ে হেঁটে ও চলাচলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা গেছে।
আবার গতকাল বিকেলে দেখা যায়,অনেকেই দূর দিয়ে পায়ে হেঁটে না গিয়ে মাঝখানের বন্ধ করা লােহার শিকের ওপর দিয়ে লাফিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে।যেন দেখার কেউ নেই,নেই কোন ট্রাফিক ব্যাবস্থাও।
নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল বলেন,দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর মেরামতের কাজ শেষ করে পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সাতদিন পার হলেও হাজার হাজার পথচারী চলাচলের ব্যস্ত এই ফুট ওভারব্রিজটির কাজ কবে নাগাদ শেষ করতে পারবেন তা তিনি বলতে পারেননি।
এদিকে প্রতিদিন ছোট বড় সব ধরনের হাজার হাজার গাড়ি এই ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে ঢাকা ও চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে চলাচল করে।
তাই জনসাধারণের দাবী ব্রিজের মেরামতের কাজের পাশাপাশি সাধারণের চলাচলের যেন বিকল্প ব্যাবস্থা করা হয়।