শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার। ২১সে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সেদিনই মরে যেতে পারতাম-এ,এইচ,এম মাসুদ দুলাল মাহফিলে প্রধান আকর্ষন আওলাদে রাসুল সৈয়দ বাহাদুর শাহ, প্রধান অতিথি আজমেরী ওসমান ও উদ্বোধক এম. এ. ওহাব। নির্মম ১৫ আগষ্টেরর স্মৃতি চারণে সবাইকে কাঁদালেন- মারুফুল ইসলাম ঝলক। শোকাবহ আগস্টে কালো ব্যাজ বিতরণ করেন অ্যাডভোকেট নুরজাহান। সোনারগাঁ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ এলাকায় ছিনতাইয়ের কবলে টেক্সটাইল মিলের নাইটগার্ড। বন্দরে আসছেন আওলাদে রাসূল বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রিমনের অকাল মৃত্যুতে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহম্মেদ সুজনের শোক প্রকাশ। বন্দর উপজেলায় সিএনজি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত।
বিজ্ঞপ্তি :
MK24TV .মুক্তির কথা ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,

চতুর্থ বারের মত পালিয়ে গেল নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া।

 দৈনিক মুক্তির কথা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি: পারভেজ আহমেদ 

 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকার গোহাট্টা গ্রামের মোস্তফা কামালের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী একই ইউনিয়নের ফুল বাড়ীয়া গ্রামের মৃত সূরুজ মিয়ার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্র মোঃ সাজিদের হাত ধরে
চতুর্থ বারের মতো পালিয়ে গেছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে মেয়ের পরীক্ষা দেয়ার জন্য রিক্সায় করে মোস্তফা কামানের স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে মোগড়াপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি বিদ্যানিকেতনের সামনে নেমে ভাড়া পরিশোধ কালে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন দৌড়ে গিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রাখা সিএনজিতে করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্র সাজিদের সঙ্গে চতুর্থ বারের মতো স্বইচ্ছায় পালিয়ে যায়।
সুমাইয়া আক্তার লিয়ন একা দৌড়ে গিয়ে সিএনজিতে ওঠে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন স্কুল ড্রেস পরে হাতে ফাইল নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে,এসময় মা সুলতানা আক্তার তার পিছু নিয়ে মেয়ের নাম ধরে ডাকতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে ৬ ডিসেম্বর চারজনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দায়ের করেন।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামাল তার মামলায় ঘটনার সহিত জড়িত নয় এমন ব্যক্তিকেও আসামী করেন। যার প্রেক্ষিতে ঘটনায় জড়িত নয় কিন্তু মামলায় এমন ব্যক্তিবর্গের নাম থাকায় তাদের পরিবার পরিজন পুলিশি হয়রানীর শিকার হচ্ছে এবং অত্যন্ত অসহায় ও আতঙ্কিত অবস্থায় দিন যাপন করছে।

জানা যায়, ইতিপূর্বে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন ও সাজিদ একে একে তিনবার পালিয়ে যায়। তিনবারই সুমাইয়া তার পছন্দের ছেলে সাজিদের বাড়িতে চলে যায়।
সর্বশেষ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মোস্তফা কামাল নিলুর মিয়ার বাড়িতে বসে উভয় পরিবার ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতে আলোচনার মাধ্যমে সুমাইয়াকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।

এবং তিনমাস পর সামাজিকভাবে অনুষ্ঠান করে তার মেয়েকে সাজিদের সঙ্গে বিয়ে দিবেন বলে মোস্তফা কামাল তার মেয়ে ও সাজিদের পরিবার ও উপস্থিতদের আশ্বস্ত করে মেয়েকে তার জিম্মায় নিয়ে যায়।

মেয়েকে এক প্রকার ঘর বন্দী করে রেখে সাজিদকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্র ঠিক করেন এবং মেয়ে সুমাইয়াকে বিয়েতে রাজি হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুমাইয়া,সাজিদের সাথে আবারও পালিয়ে যায়।

তারও পূর্বে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল নোটারীর মাধ্যমে তারা কোর্টে বিবাহ সম্পন্ন করে। নোটারীতে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন ২০ জুলাই ২০০৩ তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করেন । সেই হিসেবে সুমাইয়া আক্তার সাবালিকা বলে সাজিদের পরিবার দাবি করেন।



আমাদের ফেইসবুজ পেইজ