মুছে যাক গ্লানি সব পুরনো দিনের জরাজীর্ণ সময় সোনালী সূর্যের ন্যায় সুখী সমৃদ্ধ হোক আমাদের সকলের জীবন। অতি শুভ হোক নতুন বছরের নিরন্তর শুভকামনায় আমাদের জীবনের পথচলা। নতুন বছর আসলেই বদলে যায় সকলের দিনক্ষণ সময় ও মনের বিশেষ ভাব। নতুন বছর মানেই নতুন উদ্দীপনা,নতুন প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। পেছনে ফেলে আসা বর্ষের ভুল,হতাশা, দুঃখ,গ্লানি সব কে দূরে ঠেলে নতুন উদ্যমে সাহসিকতার পথচলার নতুন সময়ের পথ। সভ্যতার ইতিহাসে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর পথে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই নতুন বর্ষের নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো বাঙালি জাতি। বাঙালিরা অন্যদের তুলনায় এই ভেবে অনায়াসে গর্ব করতে আমাদের একটি নিজস্ব বর্ণমালা এবং একটি বর্ষপঞ্জি রয়েছে,যাহা বিশ্বের অনেক বিখ্যাত জাতিরও নেই। নিজস্ব বর্ষপঞ্জি থাকার কারণে বাঙালি জাতি বছরে দু’বার বর্ষবরণ করে থাকেন,একটি হল পহেলা বৈশাখ ও আরেকটি পহেলা জানুয়ারি। বাঙালি একবার বলে শুভ নববর্ষ। আরেকবার বলে হ্যাপি নিউ ইয়ার,এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। এ বিষয়ে রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাবে-এমন প্রত্যাশা দেশের সব জনসাধারণের। গত বছর যে আশা-আকাক্ষা নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিলো, তার অনেকখানি হয়তো পূরণ হয় নাই। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? নতুন উদ্যমে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবে সকলের জীবনে। নতুন বছর এসেছে সম্পূর্ণ অচেনার রূপ নিয়ে।
বৈশ্বিক মহামারী (কোভিড-১৯) জীবন থেকে সব স্বাভাবিকতা কেড়ে নিয়েছে। উৎসবের রঙ ফিকে হয়ে গিয়েছে। এর আঁচ এসে লেগেছে আমাদের জীবনে চলার পথে। এরপরও চির সংগ্রামী, লড়াকু ও আশাবাদী মানুষের প্রত্যাশা সব ধরনের স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ ঘন সময়। শান্তি,সমৃদ্ধি,স্বস্তি,গতিময়তা নতুন মাত্রার প্রভাব ঘটবে। নতুন আশার চিত্রে প্লাবিত করবে দিক-দিগন্তের সবদিক।
নতুনের মধ্যে নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। উক্ত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়নের মাধ্যমে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে দেশজাতি এমনটাই আমার প্রত্যাশা। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মোহাম্মদ আলী। তিনি আরো জানান ক্রমাগতভাবে বিদায় ২০২২ স্বাগতম ২০২৩ নববর্ষ । নতুন নববর্ষের পদার্পনে সকলের জীবন নতুন আঙ্গিকে সাফল্যের ভরে যাক এমনি প্রত্যাশা। (বিদায় 2022 স্বাগতম ২০২৩ ইং নববর্ষ) ।