মুক্তির কথা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপি জাঙ্গাল এলাকায় মরহুম আয়নাল হক ফাউন্ডেশনের নিজেস্ব অর্থায়নে বয়স্ক নারীদের জন্য কুরআন ও নামাজ শিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্র চালু হয়েছে।এতে কুরআন ও নামাজ শিক্ষা কেন্দ্রের ৪ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের প্রথম তলা প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ সুসম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে বিনামূল্যে সম্পূর্ণ নিরাপদে সব বয়সের নারীদের কুরআন ও নামাজ শিক্ষার সুব্যবস্থা রয়েছে। ধামগড় ইউপির পরপর তিনবার নির্বাচিত
সাবেক সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আলহাজ্ব আয়নাল হক এর সুযোগ্য সন্তান আজিজুল হক আজিজ। যিনি আয়নাল হক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা। যার তত্বাবধানে
নারীদের কুরআন ও নামাজ শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত। এ বিষয়ে আলহাজ্ব আজিজুল হক আজিজ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত। আমি যখন বাসা থেকে বের হতাম প্রায় সময় দেখতাম স্থানীয় কিছু মহিলারা মসজিদের মেহরাবের দেওয়াল ধরে চুমু খায়। এবং কান্না করে। একদিন আমি জিজ্ঞাসা করিলাম আপনারা এখানে এভাবে কান্না করেন কেন? তখন তারা আমাকে উত্তর দেয় আমরা ছোটবেলা ঠিকমতো কুরআন শিখতে পারিনি। আমাদের পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আল্লাহর পবিত্র মক্কা শরীফে যেতে পারি না। মসজিদ আল্লাহর ঘর। এই ঘরকে ধরে কান্না করি যাতে করে আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দেন। তখন তাদের কথায় আমার চোঁখে পানি এসে যায়। আমার পিতা ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক এর জীবদ্দশায় আমি সেই সকল নারীদের কুরআন ও নামাজ শিক্ষা কেন্দ্র কথা বলি। তিনি আমার সকল কথা শুনে সম্মত পোষন করেন। এরপর যখন আমাদের বাড়িতে দ্বিতীয় তলার ছাদ করি তখন এলাকার বেশকিছু মহিলা আমার কাছে আসে। তারা অনুরোধ করেন যে আমাদের বাড়ির কাজ সম্পন্ন হবার আগ পর্যন্ত রমজান মাসের তারাবি পড়ার জন্য আমাদের ছাদে ব্যাবস্থা করি। তখনো বাড়ির কাজ সম্পন্ন হয়নি এবং সিঁড়িও দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপর ও তাদের কথামত আমি বাঁশের সিঁড়ি বানিয়ে দেই তাদের নামাজ পড়ার জন্য। তখনও প্রায় এক থেকে দেড়শ লোক হয় যা দেখে আমার মনটা ভরে যায়। বেশ কিছুদিন জুম্মার নামাজের সময় আমি মসজিদে দাঁড়িয়ে সকলের কাছে নারীদের জন্য কুরআন ও নামাজ শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামাজিক অনুমতি প্রার্থনা করি। সকলেই এক বাক্যে আমাকে অনুমতি দেন। তারপর থেকে মহান আল্লাহপাকের নাম স্মরন করে দ্রুত কাজ শুরু করি। সেই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম তলা ও উপরের ছাদ সহ সব বয়সের প্রায় বেশকিছু নারী নামাজ ও কোরআন শিক্ষা গ্রহন করছেন। পাশাপাশি নারীদের ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে সমাজে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে।