শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার। ২১সে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সেদিনই মরে যেতে পারতাম-এ,এইচ,এম মাসুদ দুলাল মাহফিলে প্রধান আকর্ষন আওলাদে রাসুল সৈয়দ বাহাদুর শাহ, প্রধান অতিথি আজমেরী ওসমান ও উদ্বোধক এম. এ. ওহাব। নির্মম ১৫ আগষ্টেরর স্মৃতি চারণে সবাইকে কাঁদালেন- মারুফুল ইসলাম ঝলক। শোকাবহ আগস্টে কালো ব্যাজ বিতরণ করেন অ্যাডভোকেট নুরজাহান। সোনারগাঁ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ এলাকায় ছিনতাইয়ের কবলে টেক্সটাইল মিলের নাইটগার্ড। বন্দরে আসছেন আওলাদে রাসূল বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রিমনের অকাল মৃত্যুতে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহম্মেদ সুজনের শোক প্রকাশ। বন্দর উপজেলায় সিএনজি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত।
বিজ্ঞপ্তি :
MK24TV .মুক্তির কথা ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,

অনুপ্রবেশকারীদের কাছে হেরে যাচ্ছে ত্যাগী নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত ৭১ সদস্য কমিটিতে স্থান হলো না বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক,একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সোনারগাঁ উপজেলার সহ-সভাপতি, ছাত্র নেতা সফিকুল ইসলাম ইমাম এর মতো অনেকের।
কিন্তু কোনো কালে জয় বাংলা শ্লোগান না দিয়েও শুধু মাত্র অর্থের জোরে, প্রথমে শিবির কর্মী পরে ৯০ দশকে এরশাদের ছাত্রসমাজে যোগদিয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেও বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভুইঁয়ার সানিধ্যে থাকায় প্রস্তাবিত কমিটিতে সুযোগ পেলো চেয়ারম্যান আলামিন সরকার। তৃণমূলের মুখেমুখে প্রচলিত আছে বর্তমান সভাপতির দোয়ার বরকতে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নে মাহবুব সরকার নামে বিতর্কিত আরো একজন বায়াত হলেন প্রস্তাবিত কমিটিতে। যে কিনা ১৯৮৩ সাল থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত জাতীয়পার্টি ও ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু করে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ও বর্তমানে জাতীয়পার্টি থেকে লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি হওয়ার পর সে পুনরায় জাতীয়পার্টির কোল গরম করে এখন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করিয়েছেন। সে বীর মুক্তিযোদ্ধা গফুর হত্যা মামলারও অন্যতম আসামী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ বলছেন সফিকুল ইসলাম ৯০ এ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন ও বিএনপি সরকার আমলে হামলা মামলায় শিকার হন। সর্বশেষ রয়েল রিসোর্ট কান্ডে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় হেফাজত কর্মীরা তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। সে একজন কলম যোদ্ধা। বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ পরিবারের মধ্যে হাতে গোনা উল্লেখ্য যোগ্য যে ৪টি পরিবার ছিলো তাদের মধ্যে থেকে একটি পরিবারের সন্তান সফিকুল ইসলাম ইমাম।
তার বাবা জোহর আলী মেম্বার ছিলেন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি জীবদ্দশায় এডভোকেট সাজেদ আলী ভুইয়া,মোবারক হোসেন,আবুল হাসনাত সহ সোনারগাঁ উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কাঁধে মিলিয়ে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সফিকুল ইসলাম’র রাজনীতির হাতেখড়ি বাবার হাত ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জয় বাংলা শ্লোগান তার ধমনিতে। সেই শৈশব কাল থেকে তৃণমূলের যারা জয় বাংলার শ্লোগান দিয়ে দেশের প্রতি দলের প্রতি মমত্ববোধ দেখিয়ে ৫০ বছর পার করলো,তাদের স্থান হলোনা সোনারগাঁ উপজেলা  আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের প্রস্তাবিত কমিটিতে!
এখানে প্রশ্ন থেকেই যায়,এই অর্থের যুগে টাকার কাছেই কি হেরে গেলেন প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা সফিকুল ইসলাম ইমাম।



আমাদের ফেইসবুজ পেইজ