মুক্তির কথা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চেলার চর যুব সমাজের উদ্যোগে ১০৩ নং দিশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বর্ণাঢ্য ডিগবল টুর্ণামেন্ট খেলায় রেনেসাঁ ক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করে রেইনবো স্পোর্টিং ক্লাবের প্রথম জয়ের স্বাধ গ্রহন।
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে চেলারচর যুব সমাজের উদ্যোগে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৪ মে)পবিত্র ঈদেরদিন বিকেল চার ঘটিকায় চেলারচর ১০৩ নং দিশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত খেলাটি ৫০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ে গোলশুণ্য ভাবে শেষ হওয়ায় ট্রাইবেকারের দিকে খেলাটি গড়ায়।
নিয়মঅনুযায়ী প্রথমে উভয় দল চারটি করে কিক করার সুযোগ পায়।
এই চারটি কিকের মধ্যে কোন দলই গোল করতে না পারায়, খেলা পরিচালনা কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতে আবারো উভয়দলের দুই অধিনায়ক একটি করে কিক নেয়ার সুযোগ পান।
প্রথমে রেইনবো স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক পারভেজ আহমেদের করা কিক থেকে গোলের স্বাধ পায় তারা।
রেনেসাঁ ক্লাবের অধিনায়ক আবু সালেহ গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় রেইনবো স্পোর্টিং ক্লাব এক শূন্য গোলে জয় পায়।
প্রথম খেলায় জয় পাওয়ায় খুবই উচ্ছসিত তারা।
রেইনবো স্পোর্টিং ক্লাবের জয়ের পরে দলীয় অধিনায়ক পারভেজ আহমেদ বলেন, আমরা এই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফাইনাল জিতে এই টুর্নামেন্টের প্রথম কাপ আমাদের ঘরে তুলবো ইনশাআল্লাহ,।
রেইনবো স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ছেলেদের এই জয়ে আমার টিম ম্যানেজমেন্ট সহ আমি খুব আনন্দিত এবং খুশি হয়েছি।পরবর্তী খেলায়ও একই ভাবে শৈল্পিক ফুটবল খেলে আমাদের ছেলেরা জয় ছিনিয়ে আনবে বলে আমি আশাবাদী।
উল্লেখ যে,মোবাইল আসক্তি থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে খেলাকেই বেছে নিয়েছেন চেলার চর এলাকার শিক্ষিত সমাজ। উক্ত টুর্ণামেন্টে শুধুমাত্র চেলার চর গ্রাম থেকেই লটারীর মাধ্যমে আটটি দল নির্ধারিত করা হইয়াছে। প্রত্যেক দলে ৮ জন করে খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবে, মাঠে খেলবে পাঁচজন। বাকি তিনজন খেলোয়াড় অতিরিক্ত হিসেবে থাকবে।
খেলাটি নক আউট সিস্টেমে পরিচালিত হচ্ছে।
খেলা চলাকালীন সময়ে,১০৩ নং দিশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শকরা বলেন অত্যন্ত আনন্দময় এই টুর্নামেন্টে খেলা দেখে আমরা খুবই আনন্দিত।
এই দুর্যোগপূর্ণ কভিড-১৯ মহামারীরতে মানুষের মনে একটু আনন্দ দিতে পেরে আয়োজক কমিটিও খুশি।
তারা বলেন যদি প্রত্যেকটা গ্রামে এইরকম টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় তাহলে ছেলেরা ভয়াবহ মাদকের নেশা ও মোবাইল আসক্তি থেকে বিরত হয়ে খেলাধুলায় মনোযোগী হবে। এবং লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে।
আমরা চাই প্রত্যেকটা গ্রামে এরকম উদ্যোগ নিয়ে খেলা পরিচালিত হোক।