নারায়ণগঞ্জ ,প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বিসিক থেকে রপ্তানিকৃত গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান হতে পোশাক চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এসময় কোটি টাকার পোশাকসহ কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম।
এর আগে ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর শিল্পনগরী এলাকায় প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভিতর অভিযান পরিচালনা করে রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান হতে অভিনব কায়দায় পোশাক চুরি করার সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৮ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে।
আটককৃতরা হলো- মোঃ লিটন (২০), মোঃ দুলাল (৩৫), মোঃ লোকমান চৌকিদার, মোঃ আলাউদ্দিন (৩১), মোঃ শাকিল (১৭), মোঃ মোস্তফা (৪১), মোঃ মিনহাজ আহম্মেদ (৩৫) এবং মোঃ রুবেল(২৪)। এসময় তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকসহ ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন অপ্টিমাম ফ্যাশন ওয়ের লিঃ ফ্যাক্টরীর রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কাঁচপুর বিসিক এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভিতর কাভার্ডভ্যান ঢুকিয়ে উক্ত ফ্যাক্টরীর কিছু অসাধু কর্মচারী এবং কাভার্ডভ্যানের অসাধু চালক ও হেলপারের যোগসাজশে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র রপ্তানিজাত পোশাক চুরি করে আসছিল। এই চোরচক্র রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান তাদের সুবিধামত স্থানে নিয়ে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে অভিনব কায়দায় প্রতিটি কার্টুন হতে ১০ থেকে ২০টি করে পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করে আসছে। তাদের এসকল চুরির ফলে গার্মেন্টস মালিকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো এবং চাহিদা ও অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতাদের নিকট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো। এ সকল অবৈধ চোরাই কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভিতর কাভার্ডভ্যান হতে পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে রপ্তানিজাত পোশাক চুরির সময় কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকভর্তি ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধারসহ উল্লিখিত আসামিদের হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামিরা স্বীকার করে যে, তারা সংঘবদ্ধ চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ভবিষ্যতে এই সংঘবদ্ধ চোরাইচক্রের পলাতক সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের গোপন অনুসন্ধান ও কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।