নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে বাবার বাড়িতে ধর্ষণ চেষ্টা, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে এবং আরেক আসামি দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. ক. আশিক বিল্লাহ জানান, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের দু’জনকে রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে আটক করা হয়েছে। দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এর আগে এ ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক করে পুলিশ। ফলে এ ঘটনায় মোট চারজন আটক হলো।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। রাতেই এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়। মামলার পরই আটক হয় দুজন।
ভাইরাল ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এসময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।